18/09, Block B, Bosila City R/A
Mohammadpur, Dhaka - 1207
+880 9638 667701
+880 1711 871722
বর্তমান বাংলাদেশের ই-কমার্স ব্যবসায় রিটার্ন হার কমানো এখন শুধু একটি অপারেশনাল উন্নয়ন নয় বরং এটি একটি শক্তিশালী ব্যবসায়িক কৌশল। পণ্যের ভুল মাপ,অবাস্তব তথ্য, ছবির সাথে পণ্যের অমিল, দেরিতে সরবরাহসহ নানা কারণে রিটার্ন হার দ্রুত বাড়ে, যা সরাসরি আপনার লাভ, গ্রাহক, ভরসা ও ব্র্যান্ডকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এই লেখায় একজন উদ্যোক্তার বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়ে দেখানো হয়েছে কীভাবে পণ্যের মান উন্নয়ন, সঠিক কনটেন্টের ব্যবহার , উন্নত সরবরাহ ব্যবস্থা ও বাস্তব তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত একটি ব্যবসার রিটার্ন হার ৩০% থেকে ১২% -এ নামিয়ে এনেছে।
রিফাত, ঢাকার এক তরুণ ই-কমার্স ব্যবসায়ী। প্রতিনিয়তই তার দোকানে অর্ডার রেট বাড়ছে ,নতুন গ্রাহক আসছে । আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় সব ঠিকঠাক চলছে কিন্তু দিন শেষে হিসেব মিলাতে গিয়ে সে বুঝতে পারে কেবল অর্ডারই বাড়ছে ,লাভ আর বাড়ছে না ।
কিন্তু কেন ?
রিফাত ভাবে “আমি তো সারা দিন পরিশ্রম করছি ,তাহলে আমার লাভ যাচ্ছে কোথায়?”
রিফাত হিসেব করে দেখলো রিটার্ন হার প্রায় ৩০% অর্থাৎ প্রতি ১০টি পণ্যের মধ্যে ৩টিই ফিরে আসছে এবং সে প্রথমে এই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয় ।
একদিন রিফাত সব রিটার্ন হওয়া প্যাকেট এনে টেবিলে রাখে এবং কারণ খোঁজার চেষ্টা করে যে কেন এত পার্সেল রিটার্ন আসে । সে গ্রাহকের মন্তব্য এনালাইজ করে পায় -
রিফাত বুঝতে পারে এটা একটা সমস্যা না বরং পণ্য সংগ্রহ ,কনটেন্ট ও সরবরাহ পুরো প্রক্রিয়াকরণ যাত্রার দুর্বলতার প্রতিফলন।
রিফাত সমস্যার সমাধান খুঁজতে চেষ্টা করে এবং সিদ্ধান্ত নেয় একটি স্মার্ট ই-কমার্স পরিচালনা ব্যবস্থা ব্যবহার করার, যা পণ্য যাচাই, কনটেন্টের মান উন্নয়ন, ডেলিভারি নিয়ন্ত্রণ এবং রিটার্ন সব এক জায়গা থেকে পরিচালনা করতে পারে।
ই-কমার্স পরিচালনা সিস্টেমের এনালাইজেশন দেখায় কোন পণ্য সবচেয়ে বেশি রিটার্ন হয়, কোন সরবরাহকারীর পণ্যে সমস্যা বেশি থাকে, কোন মাপ বেশি ঝামেলা তৈরি করে ।
রিফাত দেখলো আগে ম্যানুয়ালি পণ্য খুঁজে বের করতে গিয়ে বেশি সময় লাগতো এবং পদে পদে ভুল হওয়াটাও ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু এখন সিস্টেম নিজেই ব্যাচ অনুযায়ী পণ্য যাচাই করে তালিকা তৈরি করছে।
ফলে ত্রুটিযুক্ত পণ্যের সংখ্যা ৪০% কমে যায় এবং ভুল পণ্য পাঠানোরও ভয় থাকে না।
সিস্টেম এনালাইজেশন দেখায় “মাঝারি (Medium) মাপের পণ্যের রিটার্ন হার সবচেয়ে বেশি।”
রিফাত অবাক হল তবে সমাধান এর জন্য পণ্যের সাথে -
ফলে মাপ-সংক্রান্ত রিটার্ন রেট প্রায় ৪৫% কমে গেল।
একজন গ্রাহক রিভিউ লিখেছে “ পণ্য উল্লেখিত ছবির মতো না ”
কথাটি রিফাতের নজরে পড়ে । সে বুঝতে পারে যেসব পণ্যের ছবি দুর্বল, সেগুলোই বেশি রিটার্ন আসে । তাই সে মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করা শুরু করে সাথে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখে । যেমন -
তারপর সিস্টেমের কনটেন্ট নির্দেশিকা অনুযায়ী পণ্যের বর্ণনা ,উপাদান, গুণ, ব্যবহার, রঙ, মাপ সব স্পষ্ট করে উল্লেখ্য করা শুরু করে ।
ফলাফল এনালাইজ করে দেখল “পণ্য ছবির মতো না” এই অভিযোগ ৭০% কমে গেছে ।
সিস্টেমের এআই এনালাইজ করে পরামর্শ দেয় রিচ বাড়াতে ভিডিও যোগ করুন । রিফাত ভিডিও বানানো শুরু করে । ভিডিওতে বিস্তারিতভাবে পণ্যের কোয়লিটি কেমন, রঙ কেমন, ব্যবহারবিধি, সাইড ইফেক্ট ,কোয়ান্টিটি সহ একজন গ্রাহকের মনে যা প্রশ্ন আসতে পারে সেগুলোর উত্তর দেয় ।
ফলে গ্রাহকের প্রত্যাশা ও বাস্তবতা আলাদা হওয়ার চান্স কমে যায় এবং রিটার্ন রেট আরও কমে যায় ।
রিফাত এবার দেখে রিটার্ন আসার আরেকটা বড় কারণ হল সরবরাহ ব্যবস্থার ভুল ।
যেমন • দেরিতে পৌঁছে • ক্ষতিগ্রস্ত হয় • ঠিকানা ভুল পাওয়া যায় ।
এবারেও স্মার্ট সিস্টেম তাকে সাহায্য করে :
এটার ফলে ডেলিভারি ত্রুটি রিটার্ন ৬০% কমে যায় , পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, ট্র্যাকিং করার ফলে ডেলিভারির সময় সম্পর্কে গ্রাহকের পূর্ণ ধারণা থাকে বলে দেরি হওয়ার সুযোগ থাকেনা ।
আগে রিফাত অনুমান করে সমস্যা সম্পর্কে ধারণা করত এবং ম্যানুয়ালি সেটাকে সমাধানের চেষ্টা করতো । এখন সিস্টেমের সাহায্যে বাস্তবিক তথ্য দেখে । জানতে পারে
সিস্টেমের বাস্তবসম্মত তথ্যের ভিত্তিতে রিফাত পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করে ফলে ৩ মাসে তার রিটার্ন হার নেমে ১২% -এ চলে আসে ।
রিফাতের ব্যবসায় এখন
অর্থাৎ তার ব্যবসার গতিশীল এবং দ্রুত প্রশস্ত হওয়ার দিকে আগাচ্ছে ।
সে বুঝতে পারে “রিটার্ন ক্ষতি কমালে ,এটি ব্যবসার ভবিষ্যৎ বদলে দেয়”
আপনার ই-কমার্সও রিফাতের মতো বদলে যেতে পারে যদি আপনি পণ্যের মান উন্নত করার পাশাপাশি কনটেন্ট বাস্তব ও স্পষ্ট রাখা , সরবরাহ শক্তিশালী করা এবং DevzCart-এর মতো একটি স্মার্ট, ম্যানেজড ই-কমার্স ব্যবস্থা ব্যবহার করেন ।
তাহলে রিটার্ন হার ৩০% হোক বা ৫০% , কমানো সম্ভবই নয় বরং খুবই সহজ যদি আপনার থাকে DevzCart-র মতো স্মার্ট ই-কমার্স সল্যুশন ।